শ্রীমঙ্গল দর্শনীয় স্থান | একদিনে শ্রীমঙ্গল ভ্রমণ | শ্রীমঙ্গল কিসের জন্য বিখ্যাত
শ্রীমঙ্গল দর্শনীয় স্থান | একদিনে শ্রীমঙ্গল ভ্রমণ | শ্রীমঙ্গল কিসের জন্য বিখ্যাত - শ্রীমঙ্গল চায়ের রাজধানী হিসেবে পরিচিত এই অঞ্চলটি সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজার জেলার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে হাইল-হাওরের পাশে ৪২৫.১৫ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত একটি উপজেলা। মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলা বাংলাদেশের চায়ের রাজধানী হিসেবে সুপরিচিত।
Latest News of Allmobilegame now in Google News.
See More...
বি আর বি সিলিং ফ্যান দাম ২০২৪ | বিআরবি সিলিং ফ্যানের দাম কত ২০২৪
ন্যাশনাল সিলিং ফ্যান দাম ২০২৪ | ন্যাশনাল সিলিং ফ্যানের দাম কত ২০২৪
যমুনা সিলিং ফ্যানের দাম ২০২৪ | যমুনা সিলিং ফ্যানের দাম কত ২০২৪
প্রদীপ সিলিং ফ্যান দাম ২০২৪ | প্রদীপ সিলিং ফ্যানের দাম কত ২০২৪
শ্রীমঙ্গল দর্শনীয় স্থান | একদিনে শ্রীমঙ্গল ভ্রমণ | শ্রীমঙ্গল কিসের জন্য বিখ্যাত
একদিনে শ্রীমঙ্গল ট্যুর প্ল্যান (১) | একদিনে শ্রীমঙ্গল ভ্রমণ
বাসে একদিনে শ্রীমঙ্গল যেতে চাইলে ঢাকার সায়দাবাদ বাসস্ট্যান্ড থেকে সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২টার মধ্যে শ্রীমঙ্গলের উদ্দেশ্যে রওনা দিতে হবে। আর ট্রেনে যেতে চাইলে উপবন রাতের ট্রেনে সিলেটে গেলে সবচেয়ে সুবিধা হবে।
রাতে বাসে বা ট্রেনে শ্রীমঙ্গলের উদ্দেশ্যে রওনা দিলে ভোরের শ্রীমঙ্গল পৌঁছাবেন। সকালের নাস্তা সেরে সিএনজি রিজার্ভ করে বা লোকাল পরিবহণে করে সকালে মাধবপুর লেকে যেতে পারেন। মাধবপুর লেকের শান্ত শীতল জল এবং চারপাশের সুন্দর দৃশ্য আপনার মনকে সকালে এক অদ্ভুত প্রশান্তিতে ভরিয়ে দেবে। পথে দুই পাশে চা বাগান দেখতে পাবেন।
মাধবপুর লেকে কিছু সময় কাটিয়ে চলে আসুন লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে। বনের জীববৈচিত্র্য দেখার পাশাপাশি আপনি এখানে হালকা ট্রেকিং করতে পারেন।
লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান থেকে শহরে ফিরে পানসী অথবা পাঁচ ভাই হোটেলে দুপুরের খাবার খেয়ে নিতে পারেন। এসব হোটেলে সুলভ মূল্যে অনেক প্রকার সুস্বাদু দেশীয় খাবার পাওয়া যায়।
দুপুরের খাবারের পর কিছুটা সময় কাটাতে পারেন শ্রীমঙ্গলের একমাত্র সিতেশ বাবু চিড়িয়াখানায়। এরপর নীলকণ্ঠ চায়ের কেবিন থেকে সাত রঙের চা পান করতে করতে বিকেলে চা গবেষণা ইনস্টিটিউটে আড্ডা দেওয়া যায়।
আপনার সফর বিকাল ৫টার মধ্যে শেষ হলে শ্রীমঙ্গল থেকে ট্রেনে করে ঢাকায় ফিরতে পারেন। ট্রেনে আসা সম্ভব না হলে বাসে করে ঢাকায় ফিরতে হবে।
শ্রীমঙ্গলের দর্শনীয় স্থান | শ্রীমঙ্গল কিসের জন্য বিখ্যাত
শ্রীমঙ্গলের দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো – বাইক্কা বিল, মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত, হামহাম জলপ্রপাত, লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, নীলকণ্ঠের সাত রংয়ের চা, নয়নাভিরাম মাধবপুর লেক, ৭১’এর বধ্যভূমি, দৃষ্টিনন্দন জান্নাতুল ফেরদৌস মসজিদ, শিতেস বাবুর চিরিয়াখানা, চা গবেষণা কেন্দ্র, চা জাদুঘর প্রভৃতি।
এছাড়াও হাতে সময় থাকলে দেখতে পারেন বিভিন্ন পাহাড়-টিলাঘেরা সবুজ চা বাগান, খাসিয়া পল্লী, সিমেট্রি, হরিণছড়া গলফ মাঠ, চা কণ্যা ভাষ্কর্য, নিমাই শিববাড়ী মন্দির, লালটিলা মন্দির, মাগুরছড়া খাসিয়া পুঞ্জি, শিল্পকলা সমৃদ্ধ মণিপুরীসহ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জাতিসত্তা, হোটেল গ্র্যান্ড সুলতান, বর্ষীজোড়া ইকোপার্কসহ প্রত্যক্ষ করতে পারবেন স্থানীয় উপজাতিদের জীবনধারা ও সংস্কৃতি।
শ্রীমঙ্গল কিসের জন্য বিখ্যাত | শ্রীমঙ্গল দর্শনীয় স্থান
শ্রীমঙ্গল শহরের নামকরণ শ্রীমঙ্গলের নামকরণ। দুইশত বছরের প্রাচীন শ্রীমঙ্গল শহরের নামকরণ নিয়ে বিভিন্ন কাহিনী থাকলেও নথিপত্রে লিপিবদ্ধ আছে যে, 'শ্রীদাস' ও 'মঙ্গলদাস' নামে দুজন মানুষ প্রথমে হাইল-হাওড়ের তীরে এসে বসতি স্থাপন করেন। এই দুই ভাইয়ের নামানুসারে জনবসতির নামকরণ করা হয় শ্রীমঙ্গল। অন্য একটি সূত্র থেকে জানা যায়, শ্রীমঙ্গল শহরের অদূরে 'মঙ্গলচন্ডী' দেবতার একটি স্থান ছিল। তাঁর নামানুসারে 'শ্রীমঙ্গল' নামকরণ করা হয়। দুটি পাতা ও একটি কুঁড়ির দেশ শ্রীমঙ্গল। চা শিল্পের জন্য শ্রীমঙ্গলের সুনাম ও পরিচিতি বিশ্বব্যাপী। রাজধানী ঢাকা থেকে প্রায় ২০০ কি.মি. দূরত্বে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজার জেলা সদর থেকে ২০ কিলোমিটার দক্ষিণে প্রকৃতির আদুরেকন্যা, সুবিশাল পাহাড়ের পাদদেশে আর হাইল-হাওরের পিঠে ৯টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভাসহ উপজেলা শ্রীমঙ্গলের অবস্থান।
শ্রীমঙ্গল রিসোর্ট ভাড়া
এগুলোর ভাড়া ২,৩০০ থেকে শুরু করে ৫,০০০ টাকা পর্যন্ত। প্রায় বেশ কয়েকটি ক্যাটাগরিতে বিভিন্ন মূল্যে কটেজ ও রুম ভাড়া দেয়া হয় এই রিসোর্টে। যেমনঃ করুই কটেজে প্রতি রাতের জন্য গুনতে হবে ২,৩০০ টাকা ,বাবুই কটেজে ২,৫০০ টাকা ,ময়না কটেজে ৩,০০০ টাকা ,মুড কটেজে ৪,৫০০ টাকা এবং ধনেশ কটেজে ৫,০০০ টাকা।
একদিনে শ্রীমঙ্গল ট্যুর প্ল্যান (২)
আপনি যদি একজন অ্যাডভেঞ্চার প্রেমী হন তবে আপনি শ্রীমঙ্গল ভ্রমণে হামহাম ঝর্ণা দেখতে পারেন। ঢাকা থেকে খুব ভোরে শ্রীমঙ্গল পৌঁছে সকালের নাস্তা করে সারাদিনের জন্য সিএনজি বা জীপ রিজার্ভ করে হামহাম ঝর্না। খুব ভোরে রওনা হয়ে দুই ঘণ্টায় কলাবন পাড়ায় পৌঁছানো যায়। হামহাম ঝর্ণায় ট্রেকিং শুরু হয় কলাবন পাড়া থেকে গাইড দিয়ে। হাম হামের আসল সৌন্দর্য দেখতে চাইলে বর্ষাকালে যেতে হবে।
হামহাম জলপ্রপাত দেখে আপনি শহরে ফিরে আসতে পারেন, পাঁচ ভাই বা পানসীতে দুপুরের খাবার খেয়ে বিকেলে মাধবপুর লেকের উদ্দেশ্যে রওনা দিতে পারেন। লেক ও চা বাগানের সৌন্দর্য দেখে সাত রঙের চা পান করতে চলে যান নীলকণ্ঠ কুঠিরে। ভ্রমণ শেষে বাস বা ট্রেনে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে দিন।
ঢাকা থেকে যেভাবে শ্রীমঙ্গল যাবেন
ঢাকা থেকে ট্রেনে করে শ্রীমঙ্গল যেতে কমলাপুর কিংবা বিমান বন্দর রেলওয়ে ষ্টেশান হতে উপবন, জয়ন্তিকা, পারাবত অথবা কালনী এক্সপ্রেস ট্রেনকে বেছে নিতে পারেন আপনার ভ্রমণ সঙ্গী হিসাবে। শ্রেণী ভেদে জনপ্রতি ট্রেনে যেতে ভাড়া ২৪০ টাকা থেকে ৫৫২ টাকা। ট্রেনে যেতে সময় লাগে পাঁচ থেকে সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা।
ঢাকা থেকে বাসে শ্রীমঙ্গল যেতে হানিফ এন্টারপ্রাইজ, শ্যামলী পরিবহন, সিলেট এক্সপ্রেস, এনা ইত্যাদি নন এসি বাস ফকিরাপুল বা সয়দাবাদ থেকে ৪৭০ টাকা থেকে ৬০০ টাকা ভাড়ায় পাওয়া যায়। বাসে যেতে প্রায় ৪ ঘন্টা সময় লাগে।
একদিনে শ্রীমঙ্গল ভ্রমণের সম্ভাব্য খরচ
বাস ভাড়া- ৪৭০ টাকা থেকে ৬০০ টাকা (বাসভেদে)
সিএনজি রিজার্ভ- ২০০০ টাকা (সারাদিনের জন্য)
ফিরতি ট্রেনের টিকেট- ২৪০ টাকা থেকে ৫৫২
সকালের নাস্তা- ৫০ টাকা
দুপুরের খাবার- ১৫০ টাকা
অন্যান্য- ১০০ টাকা
একদিনে শ্রীমঙ্গল ভ্রমণ পরামর্শ
সুলভ মূল্যে খাবার খেতে চাইলে পানসী বা পাঁচ ভাই হোটেলকে বেছে নিন।
সিএনজি রিজার্ভ নেয়ার আগে কোথায় কোথায় যাবেন সে সম্পর্কে আগে থেকেই বলে নিন।
সিএনজি রিজার্ভ করতে দরদাম করে নিন।
হাম হাম যেতে জোঁকের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।
ট্রেনে ফিরতে চাইলে সময়ের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে।
আজকের আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url